
কিছু জরুরী কথা . . .
অনেক সময় অনেক ভাই এবং বোন পোস্ট দিয়ে থাকেন, আমার ফুল গুলি ঝরে পরে যাচ্ছে, ফুল ফুটলেও ফুলের পরিমান অনেক কম, আবার ফুল ফুটার পরে তেমন একটা সুন্দর রং হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি। যখন এই সব ঘটনা ঘটে তখন এটা মনের মধ্যে আসে যে নার্সারি থেকে চারা আনলাম, মনে হয় সেই ” নার্সারি ভালো না ” যাই হোক। ফোন অথবা মেসেজ দেওয়া শুরু করি, যারা এই ব্যাপারে এক্সপার্ট, তাদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করি, তাদের সাথে শেয়ার করার পর, তারা মন থেকে একটা সমাধান দেওয়ার চেস্টা করে, দেখা যায় ” যিনি সমাধান বলে দিলেন ” তার সমাধান বৈজ্ঞানিক ভাবে ঠিক থাকলেও কাজ করে না। তাহলে সমস্যা কোথায় ? আবার দেখি আমার যে গাছ আরেক জনের একি গাছ, তার ঠিকই ফুল হচ্ছে, রং সুন্দর, ঘ্রান ভালো, তার ফুল ঝরে পরে না। আমার গাছের বেলায় এমন কেন ??
আসলে সমস্যা অনেক এবং অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।কিছু সমস্যা এমন যার কোন চিকিৎসা নাই, যেমন ” ভাইরাস ” কুদরতি ভাবে এই সব সমস্যার সমাধান দুনিয়ার মধ্যে অনেক আগের থেকে আল্লাহ দিয়ে রাখছেন, যত দিন যাচ্ছে সব কিছুর মধ্যে কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে।এর কারনে অনেক সময় ভালো জিনিসের মধ্যেও ভালো কোন সমাধান কাজ করে না, কেমিক্যাল ব্যাবহার করতে হয়। কেমিক্যাল ব্যবহার করা হলে সেটা Organic থাকে না। যেমন আমি যে বীজ ব্যবহার করছি সেই বীজ যদি F1 হয়ে থাকে, অনেক সময় Organic সমাধান কাজ করে না, কারন বীজ এর জন্ম Natural না, পরে যতই আমি ভালো মাটি প্রস্তুত করি এবং সার ব্যাবহার করি, শেষ পর্যন্ত ফলাফল ‘’শূন্য’’।
(এই ব্যাপারে অনেক কথা আছে, এই সব বলতে গেলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে, বীজ নিয়ে আরেক দিন কথা বলব)
প্রাকৃতিক সমাধান
ফিটকারী নাম আমরা অনেকে শুনেছি, যাকে ইংরেজিতে Alum বলে, এই ফিটকারী নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে,পানি পরিষ্কার করার কাজেও এই ফিটকারি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে, সেভ করার পূর্বে ফিটকারী ব্যবহার করা হয়ে থাকে।কিন্তু আস্তে আস্তে এই ফিটকারী বিলুপ্তের পথে, এমন কি অনেক হারবাল ওষুধ বানানোর কাজেও এই ফিটকারী ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফুল গাছ সাধারণত Acidic Soil পছন্দ করে। (যে কোন ফুল গাছ) মাটির মদ্ধে Acidic এর পরিমান বেশী হলে, ফুল অনেক সুন্দর ফুটে এবং ফুলের রং অনেক সুন্দর হয়, ফুল ঝরে পরে না। এই জন্য ফুল যাতে ঝরে না পরে, সুন্দর ফুল ফোটে ফুল গাছের মাটিকে Acidic বানাতে হবে।তাই আপনাদের সাথে আজকে একটি টিপস শেয়ার করলাম, এর আগে একটা জরুরী কথা নোট করে রাখি, যে এলাকায় বৃষ্টি অনেক পরিমান হয়, সেই এলাকায় এই পদ্ধতি কাজ করবে না।কারন বৃষ্টির পানি Acidic হয়ে থাকে। এমনকি বৃষ্টির মধ্যে এই পদ্ধতি কাজ করবে না।
আমরা প্রথমে চা-চামুছের ১/৪ ভাগ ফিটকারি নিব। (ফিটকারী আস্ত থাকে, আমরা ভেঙ্গে পাউডার করে নিব) এরপর আধা লিটার পানিতে আমরা এটাকে মিশ্রণ করব,এটা খুব অল্প সময়ে পানিতে মিশে যায় (৩-৫ মিনিট রাখলে হবে), এরপর মাটিতে আমরা সামান্য ঢেলে দিব, ঢালার সময় আমরা লক্ষ্য রাখব, এই পানি যাতে কোন ভাবে পাতার মধ্যে স্পর্শ না লাগে, এবং ফুলের মধ্যে না লাগে, পাতার মধ্যে লাগলে পাতা জ্বলে (Burn) যেতে পারে। ৭ দিন পর পর ব্যবহার করব। যদি কাজ না করে, কোন উন্নতি না হয়, তাহলে ব্যবহার করা বন্ধ করে দিব। ফিটকারী যদিও এক ধরনের কেমিক্যাল কিন্তু এই কেমিক্যাল প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায়, দেশের বাহিরে বিভিন্ন গার্ডেন শপে Alum পাওয়া যায়।
আজকে এই পর্যন্তই,সামনে আবারো কোনো নতুন লেখা নিয়ে আসবো ।
আরো পড়ুন চারার জন্য মাটি প্রস্তুত করবেন কিভাবে
বনসাই এর জন্যে তরল সার কিভাবে বানাবেন
2611 Total Views 2 Views Today