
তেলাপোকা খুবই বিরক্তিকর, যন্ত্রণাদায়ক এক পোকার নাম। তেলাপোকা নেই এমন বাসা একটিও খুঁজে পাবেন না। প্রতিটি মানুষকে এই তেলাপোকার যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তেলাপোকা শুধু বিরক্তিকর নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এটি খুবই নোংরা একটি পোকা যা আমাদের রান্নাঘরের জিনিসপত্রে হেঁটে বেড়ায় এবং জীবাণু ছড়িয়ে দিয়ে থাকে। আর এই জীবাণু থেকে সৃষ্টি হয়ে নানা রোগের। বাজারে নানা প্রকার তেলাপোকা মারার ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই ঔষুধ দিয়ে চিরদিনের জন্য তেলাপোকা দূর করার সম্ভব হয় না। খুব ছোট একটি কাজ করে আপনি চিরদিনের জন্য তেলাপোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আসুন জেনে নিই সেই ম্যাজিক্যাল উপায়টি।
যা যা লাগবে
২০ গ্রাম বোরিক এসিড
১ টেবিল চামচ আটা
পানি
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। সমপরিমাণে বোরিক এসিড এবং আটা মিশিয়ে নিন। তারপর এতে পানি মিশিয়ে নিন। পানি অল্প অল্প করে মিশিয়ে নিন।
২। ভাল করে মিশিয়ে রুটির মত ডো তৈরি করে নিন। লক্ষ্য রাখবেন ডো যেন বেশি নরম বা শক্ত না হয়ে যায়।
৩। এই ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। সম্পূর্ণ ডোটি দিয়ে কয়েকটি বল তৈরি করে নিন।
৪। এবার ঘরের যেসব স্থানে তেলাপোকা বেশি দেখা যায় সেসব স্থানে আটার বলটি রেখে দিন।
৫। তিনদিন বা এক সপ্তাহের পর পরীক্ষা করে দেখুন তেলাপোকা মরে পড়ে আছে।
মূলত বোরিকের অ্যাসিডের উপাদান তেলাপোকার মৃত্যুর জন্য দায়ী। বোরিক অ্যাসিড তেলাপোকার মুখ আটকিয়ে দিয়ে থাকে। যার কারণে তেলোপোকা কিছু খেতে বা পান করতে পারে না। এক সময় এটি মারা যায়।
পিঁপড়ার উপদ্রব কতোটা যন্ত্রণাদায়ক তা একমাত্র ভুক্তভুগিরাই ভালো করে বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে গৃহিণীরা অনেক বেশিই বিরক্ত থাকেন পিঁপড়ার যন্ত্রণায়। চিনির বয়াম সবগুলোর ঢাকনা ভালো করে আটকে রাখলেও পিঁপড়া উঠবেই। আর যখন কোনো খাবার বা পানীয়তে চিনি ব্যবহার করতে যাওয়া হয় তখন খাবারে ভেসে উঠে পিঁপড়া যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু এই বিরক্তিকর যন্ত্রণা থেকে বেশ সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। জানতে চান কীভাবে? আজকে জেনে নিন ঘর থেকে পিঁপড়া দূর করার ১০ টি কার্যকরী দারুণ উপায়।
১) ভিনেগারের ব্যবহার


সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে নিন ভালো করে। একটি স্প্রে বোতলে এই মিশ্রন ভরে নিয়ে ঘরের যে স্থান দিয়ে পিঁপড়া ঘরে ঢোকে সেই সব স্থানে ভালো করে স্প্রে করে দিন। ব্যস, পিঁপড়া আর আসবে না।
২) লবণের ব্যবহার
সবচাইতে কম খরচে পিঁপড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে গরম পানিতে লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর তা স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে যেখানেই পিঁপড়া দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
৩) গোল মরিচের ব্যবহার
গোল মরিচ গুঁড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে একই পদ্ধতিতে সব স্থানে স্প্রে করেও পিঁপড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৪) সাবানের ব্যবহার
সাবানের কেমিক্যাল পিঁপড়ার জন্য ক্ষতিকর। তাই স্প্রে বোতলে সাবান পানি ভরে নিয়ে পিঁপড়া ঢোকার সবস্থানে স্প্রে করে রাখুন।
৫) লেবুর ব্যবহার
লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পিঁপড়ার মারতে সক্ষম। লেবুর রসের সাথে পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। যেখানেই পিঁপড়া দেখবেন স্প্রে করে দিন।
৬) শসার ব্যবহার
পিঁপড়া শসার স্বাদ একেবারেই পছন্দ করে না। সেসকল স্থান দিয়ে পিঁপড়া ঘরে ঢোকে সেসব স্থানে শসা স্লাইস করে রেখে দিন। পিঁপড়া আর ঢুকবে না।
৭) বেবি পাউডারের ব্যবহার
যেখানে পিঁপড়ার আনাগোনা বেশি দেখবেন সেখানে বেবি পাউডার ছিটিয়ে দিন। পিঁপড়া বেবি পাউডারের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। সুতরাং আপনি মুক্তি পাবেন।
৮) কর্ণফ্লাওয়ারের ব্যবহার
পিঁপড়া কর্ণফ্লাওয়ার হজম করতে পারে না। পিঁপড়ার উপরে কর্ণফ্লাওয়ার খানিকটা ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়া খাবে ঠিকই কিন্তু হজম করতে পারবে না। এতে করেও রেহাই পাবেন যন্ত্রণা থেকে।
৯) পারফিউমের ব্যবহার
পিঁপড়া পারফিউমের কড়া গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই একটি তুলোর বলে পারফিউম স্প্রে করে পিঁপড়া ঢোকার স্থানে রেখে দিন। ব্যস, ঝামেলা মুক্তি।
১০) রসুনের কোয়া এবং দারুচিনি
রসুন ও দারুচিনির গন্ধও পিঁপড়া সহ্য করতে পারে না। তাই সব স্থানে রসুনের কোয়া বা দারুচিনি দিয়ে রাখুন। ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন।